লেখালেখি | জাহীদ রেজা নূর

জাহিদ রেজা নূরের
লেখালেখি

44987657_10156500476711041_3353582615872405504_o
On Top

Recent Stories

সেই সব দিনগুলি ও আজম খান

জাহীদ রেজা নূর ফকির আলমগীর মারা গেলে আমরা বহুদূরের এক জগতে চলে যাই। সে জগতে ছায়ার মতো দুলতে থাকে পাঁচটি মূর্তি। বাস্তবে ফিরে এলে দেখি, একা ফেরদৌস ওয়াহিদ পাহারা দিচ্ছেন সেই সময়কে। বাকি চারজন—আজম খান, ফিরোজ সাঁই, পিলু মমতাজ, আর ফকির আলমগীর ছায়া হয়েই থেকে যান আমাদের কতিপয় হৃদয়ে। এবং সেখানেই প্রগাঢ় ছায়া দিতে থাকেন।

মরে গেল ছেলেটা

২০২৫ হোক জনগণের

জাহীদ রেজা নূর আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিস্ট্রিয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে। ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক তাৎপর্যময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানা ধরনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে নতুন

নববর্ষ

নববর্ষে মঙ্গল হোক সবার

জাহীদ রেজা নূর সূর্যোদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার যে নববর্ষের আগমন, তা রাঙিয়ে দিয়ে যাক প্রত্যেক মানুষের জীবন। বাংলা নববর্ষের উজ্জীবনী সুধায় স্নান করুক মানুষ। আশা ও আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নপূরণে সার্থক হোক পৃথিবী। গ্লানি, জ্বরা মুছে গিয়ে অগ্নিস্নানে ধরণিকে শুচি করার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই আহ্বান হৃদয়কে পরিপূর্ণ করুক।কথাগুলো এক নিশ্বাসে বলে ফেলা গেল বটে,

চাপাবাজ

নিকোলাই নোসভ রুশ থেকে অনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর চাপাবাজনিকোলাই নোসভরুশ থেকে অনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর মিশুৎকা আর স্তাসিক বাগানের বেঞ্চিতে বসে কথা বলছিল। কিন্তু সে কথাগুলো সাধারণ কথা ছিল না। অন্য বাচ্চারা এ আলাপ করতেই পারবে না। কে কাকে মিথ্যে বলায় হারিয়ে দিতে পারে, সেই প্রতিযোগিতায় বুঝি নেমেছিল ওরা। ‘তোর বয়স কত?’ মিশুৎকা জিজ্ঞেস করল।‘আমার

তুষারকন্যা

তুষারকন্যা

রুশদেশের উপকথাঅনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর এক ছিল বুড়ো আর এক ছিল বুড়ি। ভালোই তো ছিল তারা সুখে–শান্তিতে। একটাই দুঃখ ছিল তাদের। কোনো ছেলে মেয়ে ছিল না। তুষারপাতের মধ্য দিয়ে শীতকাল চলে এল। বরফ জমল কোমর সমান। বাচ্চারা বেরিয়ে গেল রাস্তায়, খেলবে বলে। বুড়ো–বুড়ি জানালায় দাঁড়িয়ে দেখতে লাগল আর নিজেদের ছেলে মেয়ে নেই বলে আফসোস করতে

krac

হাফিজের চোখ

জাহীদ রেজা নূর হাফিজের কথা ভাবলে প্রথমেই মাথায় পুর্ণতা পায় একটা ছবি—একজন মানুষ চোখ বন্ধ করে বেহালা বাজাচ্ছেন। তন্ময় হয়ে বেহালার সুরে তিনি মোহগ্রস্ত করে তুলছেন আশপাশ। এবং তারপরই ভাবনাটার মধ্যে কেমন যেন এক আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং দেখতে পাই বেহালাটা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে আর কোটর থেকে বের হয়ে গালের সামনে এসে ঝুলছে অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত

নীল দাড়ি

শার্ল পেরোঅনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর এক দেশে ছিল খুব বড়লোক একজন। তার ছিল সুন্দর এক বাড়ি। বাড়ির সব থালা-বাসন ছিল সোনা-রূপার। নিখুঁত খাট-পালং, বিলাসে ভরপুর ঘোড়ার গাড়ি, আরো কত যে ছিল সম্পদ, তা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, তার দাড়িগুলো ছিল নীল রঙের। তার দিকে তাকিয়ে নীল দাড়ি দেখলেই যে কোনো

তিনি পরিশ্রম আর মেধার যুগলবন্দী

জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা রাত দুটোর সময় দেখি, সেলফোনে রিং।আমি সাধারণত রাত ১২টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাই, সেদিন কী কারণে জেগে ছিলাম, মনে নেই। ফোনের ওপাশে ফরীদি ভাই।‘ঘুমাচ্ছিলে না তো!’‘এ সময় আমি জেগে থাকি না। আপনি ফোন করবেন বলেই হয়তো জেগে আছি।’‘চাপাবাজি কইরো না! আমি একবার ফোন দিলাম আর কি! যদি জেগে থাকো! ধরবা। না থাকলে

তারপর যেতে যেতে যেতে…আমিশদের গ্রাম

জাহীদ রেজা নূর নিউ ইয়র্ক টু ল্যাংকেস্টারপেন স্টেশন থেকে ল্যাংকেস্টারের ট্রেনে উঠতে হবে। সকাল ৯টা ৯ মিনিটে ট্রেন। সুতরাং বাস আর সাবওয়ের জন্য বেশ খানিকটা সময় বরাদ্দ রেখে আমি আর সনকা সকাল সোয়া সাতটায় কুইনস ভিলেজ থেকে বের হলাম। গন্তব্য আমিশ ভিলেজ। আরো ষ্পষ্ট করে বললে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ল্যাংকেস্টার কাউন্টির আমিশ ভিলেজ।মে মাসের মাঝামাঝি।

ছেলেবেলার বন্ধু

ভিক্তর দ্রাগুন্‌স্কিরুশ থেকে অনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর আমার বয়স যখন ছয় বা সাড়ে ছয় হলো, তখনও জানতাম না বড় হয়ে আমি কী হব। চারপাশের সব মানুষকে আমার ভালো লাগত, সবধরনের কাজ ভালো লাগত। আমার মাথায় আমি সব লেজেগোবরে করে ফেলেছিলাম, তাই মাঝে মাঝে উদাসীন হয়ে যেতাম, বুঝতে পারতাম না, আমি কোন কাজের যোগ্য। কখনো আমার

Social Media

New From Animag

Get The Latest Updates

Subscribe To Our Weekly Newsletter

No spam, notifications only about new products, updates.

Categories

On Trend

Most Popular Stories

সেই সব দিনগুলি ও আজম খান

জাহীদ রেজা নূর ফকির আলমগীর মারা গেলে আমরা বহুদূরের এক জগতে চলে যাই। সে জগতে ছায়ার মতো দুলতে থাকে পাঁচটি মূর্তি। বাস্তবে ফিরে এলে দেখি, একা ফেরদৌস ওয়াহিদ পাহারা দিচ্ছেন সেই সময়কে। বাকি চারজন—আজম খান, ফিরোজ সাঁই, পিলু মমতাজ, আর ফকির আলমগীর ছায়া হয়েই থেকে যান আমাদের কতিপয় হৃদয়ে। এবং সেখানেই প্রগাঢ় ছায়া দিতে থাকেন।

মরে গেল ছেলেটা

২০২৫ হোক জনগণের

জাহীদ রেজা নূর আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিস্ট্রিয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে। ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক তাৎপর্যময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানা ধরনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে নতুন

নববর্ষ

নববর্ষে মঙ্গল হোক সবার

জাহীদ রেজা নূর সূর্যোদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার যে নববর্ষের আগমন, তা রাঙিয়ে দিয়ে যাক প্রত্যেক মানুষের জীবন। বাংলা নববর্ষের উজ্জীবনী সুধায় স্নান করুক মানুষ। আশা ও আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নপূরণে সার্থক হোক পৃথিবী। গ্লানি, জ্বরা মুছে গিয়ে অগ্নিস্নানে ধরণিকে শুচি করার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই আহ্বান হৃদয়কে পরিপূর্ণ করুক।কথাগুলো এক নিশ্বাসে বলে ফেলা গেল বটে,

চাপাবাজ

নিকোলাই নোসভ রুশ থেকে অনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর চাপাবাজনিকোলাই নোসভরুশ থেকে অনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর মিশুৎকা আর স্তাসিক বাগানের বেঞ্চিতে বসে কথা বলছিল। কিন্তু সে কথাগুলো সাধারণ কথা ছিল না। অন্য বাচ্চারা এ আলাপ করতেই পারবে না। কে কাকে মিথ্যে বলায় হারিয়ে দিতে পারে, সেই প্রতিযোগিতায় বুঝি নেমেছিল ওরা। ‘তোর বয়স কত?’ মিশুৎকা জিজ্ঞেস করল।‘আমার

Scroll to Top