জাহিদ রেজা নূরের
লেখালেখি
Recent Stories
হাফিজের চোখ
জাহীদ রেজা নূর হাফিজের কথা ভাবলে প্রথমেই মাথায় পুর্ণতা পায় একটা ছবি—একজন মানুষ চোখ বন্ধ করে বেহালা বাজাচ্ছেন। তন্ময় হয়ে বেহালার সুরে তিনি মোহগ্রস্ত করে তুলছেন আশপাশ। এবং তারপরই ভাবনাটার মধ্যে কেমন যেন এক আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং দেখতে পাই বেহালাটা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে আর কোটর থেকে বের হয়ে গালের সামনে এসে ঝুলছে অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত
নীল দাড়ি
শার্ল পেরোঅনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর এক দেশে ছিল খুব বড়লোক একজন। তার ছিল সুন্দর এক বাড়ি। বাড়ির সব থালা-বাসন ছিল সোনা-রূপার। নিখুঁত খাট-পালং, বিলাসে ভরপুর ঘোড়ার গাড়ি, আরো কত যে ছিল সম্পদ, তা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, তার দাড়িগুলো ছিল নীল রঙের। তার দিকে তাকিয়ে নীল দাড়ি দেখলেই যে কোনো
তিনি পরিশ্রম আর মেধার যুগলবন্দী
জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা রাত দুটোর সময় দেখি, সেলফোনে রিং।আমি সাধারণত রাত ১২টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাই, সেদিন কী কারণে জেগে ছিলাম, মনে নেই। ফোনের ওপাশে ফরীদি ভাই।‘ঘুমাচ্ছিলে না তো!’‘এ সময় আমি জেগে থাকি না। আপনি ফোন করবেন বলেই হয়তো জেগে আছি।’‘চাপাবাজি কইরো না! আমি একবার ফোন দিলাম আর কি! যদি জেগে থাকো! ধরবা। না থাকলে
তারপর যেতে যেতে যেতে…আমিশদের গ্রাম
জাহীদ রেজা নূর নিউ ইয়র্ক টু ল্যাংকেস্টারপেন স্টেশন থেকে ল্যাংকেস্টারের ট্রেনে উঠতে হবে। সকাল ৯টা ৯ মিনিটে ট্রেন। সুতরাং বাস আর সাবওয়ের জন্য বেশ খানিকটা সময় বরাদ্দ রেখে আমি আর সনকা সকাল সোয়া সাতটায় কুইনস ভিলেজ থেকে বের হলাম। গন্তব্য আমিশ ভিলেজ। আরো ষ্পষ্ট করে বললে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ল্যাংকেস্টার কাউন্টির আমিশ ভিলেজ।মে মাসের মাঝামাঝি।
ছেলেবেলার বন্ধু
ভিক্তর দ্রাগুন্স্কিরুশ থেকে অনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর আমার বয়স যখন ছয় বা সাড়ে ছয় হলো, তখনও জানতাম না বড় হয়ে আমি কী হব। চারপাশের সব মানুষকে আমার ভালো লাগত, সবধরনের কাজ ভালো লাগত। আমার মাথায় আমি সব লেজেগোবরে করে ফেলেছিলাম, তাই মাঝে মাঝে উদাসীন হয়ে যেতাম, বুঝতে পারতাম না, আমি কোন কাজের যোগ্য। কখনো আমার
এই বেলা থেকে বাঁধনটাতে দাও মন
জাহীদ রেজা নূরপ্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪ সময় যখন রাজনৈতিকভাবে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে, তখন আশপাশে যা ঘটছে, তা বুঝতে কষ্ট হয়। যারা দল করে, তারা সেই দলের পেছনেই ছোটে পঙ্গপালের মতো। সত্য তখন তাদের কোনো পক্ষের কাছেই বড় নয়। যেকোনো উপায়ে নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করাই তখন তাদের ব্রত হয়ে দাঁড়ায়। আর তাই তারা চোখে শুধু
রুস্কি চুট্স্কি
রুশ থেকে অনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর রাস্তার কৌতুকজাহীদ রেজা নূরপ্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২১ আজ হঠাৎ চোখ পড়ল রাস্তার কৌতুকের দিকে। আগেই বলেছি, রুশ দেশটাই রসিকতার কারখানা। সেখানে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয় নতুন রসিকতা। তাই আজ ট্রামলাইনের পাশের ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যারা নিজেদের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তাদের দিকেই কান পাতব।আমি ছিলাম রাশিয়ার ক্রাসনাদার
ভাষা-সংকটে কিছু প্রশ্ন
জাহীদ রেজা নূর ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিশ্বের মানুষ হিসেবে অন্যের ভালোটাও তো নিতে হবে। তার মধ্যে মানবতার ডাক থাকলে সে ডাকে সাড়া দিতে হবে। বিশ্বায়নের জুয়াচুরিতে ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না, নিজের অস্তিত্বকে জলাঞ্জলি দেয়া যাবে না, সেটা ঠিক। কিন্তু বিশ্বের সেরা জিনিসগুলোর সংমিশ্রণে নতুন কিছু আমরাইবা কেন তৈরি করব না? বহতা নদীর মতো যদি
বাচ্চা ইঞ্জিন
মূল: গেন্নাদি ৎসিফোরোভঅনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর সব ইঞ্জিনই তো ইঞ্জিনের মতো, কিন্তু একটা ছিল অদ্ভুতরকমের। এই বাচ্চা ইঞ্জিনটা সবসময় দেরি করত। সময়মতো কখনই গন্তব্যে পৌঁছুত না। একদিন তো স্টেশন মাস্টার এসে শাসিয়ে গেলেন বাচ্চা ইঞ্জিনকে, ‘আর একবার যদি দেরি করে পৌঁছাও…তাহলে তোমাকে…!’ বাচ্চা ইঞ্জিনটা তো বুঝে গেল, কী বলতে চান স্টেশন মাস্টার। তাই সে তার
ফেনকা
মূল: লিওনিদ পানতালিয়েভঅনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর তখন সন্ধ্যা। আমি ডিভানে শুয়ে শুয়ে সিগারেট ফুঁকছিলাম আর পত্রিকা পড়ছিলাম। ঘরে আমি ছাড়া আর কেউ ছিল না। হঠাৎ শুনি,বাইরে থেকে কে যেন আঁচড় কাটছে। কে যেন জানালার কাচে খুবই মৃদু শব্দে আঁচড় কাটছে: ঠক ঠক ঠক!‘কী হতে পারে?’ আমি ভাবতে থাকি। ‘মাছি? না, মাছি না। তোলাপোকা? না, তেলাপোকা
Social Media
New From Animag
হাফিজের চোখ
নীল দাড়ি
তিনি পরিশ্রম আর মেধার যুগলবন্দী
তারপর যেতে যেতে যেতে…আমিশদের গ্রাম
Subscribe To Our Weekly Newsletter
Categories
Most Popular Stories
হাফিজের চোখ
জাহীদ রেজা নূর হাফিজের কথা ভাবলে প্রথমেই মাথায় পুর্ণতা পায় একটা ছবি—একজন মানুষ চোখ বন্ধ করে বেহালা বাজাচ্ছেন। তন্ময় হয়ে বেহালার সুরে তিনি মোহগ্রস্ত করে তুলছেন আশপাশ। এবং তারপরই ভাবনাটার মধ্যে কেমন যেন এক আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং দেখতে পাই বেহালাটা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে আর কোটর থেকে বের হয়ে গালের সামনে এসে ঝুলছে অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত
নীল দাড়ি
শার্ল পেরোঅনুবাদ: জাহীদ রেজা নূর এক দেশে ছিল খুব বড়লোক একজন। তার ছিল সুন্দর এক বাড়ি। বাড়ির সব থালা-বাসন ছিল সোনা-রূপার। নিখুঁত খাট-পালং, বিলাসে ভরপুর ঘোড়ার গাড়ি, আরো কত যে ছিল সম্পদ, তা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, তার দাড়িগুলো ছিল নীল রঙের। তার দিকে তাকিয়ে নীল দাড়ি দেখলেই যে কোনো
তিনি পরিশ্রম আর মেধার যুগলবন্দী
জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা রাত দুটোর সময় দেখি, সেলফোনে রিং।আমি সাধারণত রাত ১২টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাই, সেদিন কী কারণে জেগে ছিলাম, মনে নেই। ফোনের ওপাশে ফরীদি ভাই।‘ঘুমাচ্ছিলে না তো!’‘এ সময় আমি জেগে থাকি না। আপনি ফোন করবেন বলেই হয়তো জেগে আছি।’‘চাপাবাজি কইরো না! আমি একবার ফোন দিলাম আর কি! যদি জেগে থাকো! ধরবা। না থাকলে
তারপর যেতে যেতে যেতে…আমিশদের গ্রাম
জাহীদ রেজা নূর নিউ ইয়র্ক টু ল্যাংকেস্টারপেন স্টেশন থেকে ল্যাংকেস্টারের ট্রেনে উঠতে হবে। সকাল ৯টা ৯ মিনিটে ট্রেন। সুতরাং বাস আর সাবওয়ের জন্য বেশ খানিকটা সময় বরাদ্দ রেখে আমি আর সনকা সকাল সোয়া সাতটায় কুইনস ভিলেজ থেকে বের হলাম। গন্তব্য আমিশ ভিলেজ। আরো ষ্পষ্ট করে বললে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ল্যাংকেস্টার কাউন্টির আমিশ ভিলেজ।মে মাসের মাঝামাঝি।